পাকিস্তান শনিবার সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে তাদের আধুনিক ‘ফাতাহ-২’ গাইডেড রকেট সিস্টেম, যা দেশটির সামরিক সক্ষমতা এবং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপ। ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (ISPR) এর এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে, এই রকেটটির পাল্লা ৪০০ কিলোমিটারের বেশি এবং এটি আধুনিক ইনফ্লাইট গাইডেন্স সিস্টেম এবং GPS-নির্ভর নির্ভুল লক্ষ্যভেদ ক্ষমতা সহকারে তৈরি।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ফাতাহ-২-এর উৎক্ষেপণ দেশের যুদ্ধক্ষেত্রের সক্ষমতা এবং কৌশলগত ডিটারেন্স-এর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি। এটি পাকিস্তানের স্ট্র্যাটেজিক ডিফেন্স পলিসি এবং ফোর্স মাল্টিপ্লায়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে, যা দ্রুত, কার্যকর এবং নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম হবে।
বিশেষ করে সীমান্ত উত্তেজনা এবং প্রতিরক্ষা ইস্যুগুলির মধ্যে, এই রকেট পাকিস্তানকে তাদের প্রতিরক্ষা কাঠামোতে গভীরতা এবং সক্ষমতা যোগ করে, যা আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য সতর্কতা সৃষ্টিকারী। এর সফল উৎক্ষেপণ দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ভারসাম্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই অস্ত্রটির বিশেষত্ব হলো এটি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি, যা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনী জানায়, ফাতাহ-২ এর উৎক্ষেপণ কেবল একটি অস্ত্রের পরীক্ষা নয়, এটি পাকিস্তানের সামরিক শক্তির বিশ্বস্ততায় এক শক্তিশালী বার্তা। এর মাধ্যমে তারা শক্তিশালী অস্ত্র ব্যবস্থার দিকে এক ধাপ এগিয়ে গেল।
সেনাবাহিনী আরও জানায়, এই অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে পাকিস্তান তাদের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা আরও বেশি কার্যকরভাবে বাড়াতে সক্ষম হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ফাতাহ-২-এর উৎক্ষেপণ পাকিস্তান এবং প্রতিবেশী ভারতসহ অন্য আঞ্চলিক শক্তিগুলোর মধ্যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নতুন ধরণের কৌশলগত সামঞ্জস্য সৃষ্টি করবে। এটি এমন এক সময়ে ঘটছে, যখন দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও অস্থির এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা চরমে পৌঁছেছে।
ভারতের সঙ্গে চলমান সীমান্ত উত্তেজনা, কাশ্মীরের পরিস্থিতি এবং পাকিস্তানের সামরিক উন্নয়ন এই উৎক্ষেপণের পেছনের প্রধান প্রেক্ষাপট। অনেক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকও মনে করছেন, এটি দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য এবং নতুন প্রযুক্তির বিপরীতে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা বাড়ানোর এক নতুন চিত্র প্রতিস্থাপন করতে পারে।